www.kishoreganjnews.com

গ্রামীণ জনপদে আলো ছড়াচ্ছে আসিয়া বারি আদর্শ বিদ্যালয়



[ স্টাফ রিপোর্টার | ১৮ আগস্ট ২০১৭, শুক্রবার, ১২:০৮ | শিক্ষা ]


পাকুন্দিয়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদে আলো ছড়াচ্ছে মঠখোলা আসিয়া বারি আদর্শ বিদ্যালয়। টানা পঞ্চমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশের কৃতিত্ব দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি থেকে ৩৯ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে ২৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতভাগ পাশের দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি উপজেলায় একমাত্র এবং জেলার মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি।

এর আগে ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটি অংশ নিয়েই শতভাগ পাশ প্রতিষ্ঠানের কাতারে নাম লেখায়। ওই বছর ১৭ জন পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫সহ ১৭ জনই পাশ করে। এরপর থেকেই এসএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ের ২৮জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ ছাড়াও মধ্যে ১১ জন জিপিএ-৫ পায়। ২০১৫ সালে ৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাশ করে। এর মধ্যে ১৫জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালেও প্রতিষ্ঠানটি থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪জন জিপিএ-৫ পায়। বিদ্যালয়টির এই অসাধারণ কৃতিত্ব শুধু পাকুন্দিয়া উপজেলাতেই নয়, পুরো কিশোরগঞ্জ জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করে।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টি ঈর্ষণীয় ফলাফল দেখিয়ে আসছে। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের অদম্য মেধাবী হয়ে ওঠতে প্রতিষ্ঠানটি সহায়তা করছে। এতে করে গ্রাম ও শহরের শিক্ষার বৈষম্য দূরীকরণে বিদ্যালয়টি ভূমিকা রাখছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মঠখোলা আসিয়া বারি আদর্শ বিদ্যালয়টি ইউনাইটেড ট্রাস্টের পরিচালক আহম্মেদ ইসমাঈল হোসেনের পৃষ্টপোষকতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। মঠখোলা হাজী জাফরআলী কলেজেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এই ট্রাস্টের অধীনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে। সমন্বয়কারীর দায়িত্বে আছেন প্রভাষক আতাউর রহমান সোহেল। বিদ্যালয়টি অজপাড়া গাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও শহরের পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ট্রাস্টের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে ৪ তলা ভবন। ২০১৫ সালে এই ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এছাড়া রয়েছে পুরাতন একটি হাফ বিল্ডিং ভবন।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ ১৮ জন মেধাবী শিক্ষক বিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের জন্য অকান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সুপরিসর কম্পিউটার ল্যাবে শিক্ষার্থীরা আন্তরিক পরিবেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে ওঠছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সুইপার, পিয়ন, নাইটগার্ডসহ ৭জন সহায়ক কর্মচারী রয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে। যদিও শিক্ষার্থীদের বেতন ফি’তে প্রতিষ্ঠানের ২-১ দিনের খরচ চালানোও সম্ভব নয় বলে জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক এম হুমায়ুন কবীর জানান, বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৬৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষকই নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচর্যা করেন। সাপ্তাহিক পাঠ পরিকল্পনায় নিয়মিত কাশ নেওয়া ছাড়াও এখানে নেয়া হয় পাক্ষিক পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের বাইরে প্রাইভেট পড়ায় কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিশেষ কাশ নেয়া হয়। এছাড়া যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে, সেই বিষয়টিকে পরবর্তী পাঠ পরিকল্পনার সূচীতে প্রাধান্য দেয়া হয়। এসব কারণে ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে বলেও তিনি জানান।



[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর



















প্রধান সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম

সম্পাদক: সিম্মী আহাম্মেদ

সেগুনবাগিচা, গৌরাঙ্গবাজার

কিশোরগঞ্জ-২৩০০

মোবাইল: +৮৮০ ১৮১৯ ৮৯১০৮৮

ইমেইল: kishoreganjnews247@gmail.com

©All rights reserve www.kishoreganjnews.com