অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর টুকার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বুলভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলের পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় টিনশেড ছাউনিতে কোন রকমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। কিন্তু ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিগত কয়েক বছর যাবত সেখানে পাঠদান করানো হয় না। ভবনের বারান্দার ছাউনি নেই। ভবনের ভেতরে উপরের ঢালাইয়ের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। এমনকি দরজা-জানালা পর্যন্ত নেই। এতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ছিল স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকগণ। ফলে ভবনটিতে ক্লাশ না নিয়ে একটি টিনশেড ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৭ থেকে ৮ বছর আগে স্কুলভবনটির বারান্দার চালাটি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। পরে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ভবনটিতে কিছুদিন পাঠদান চললেও ভবনটির অবস্থা বেহাল থাকায় পরিত্যক্ত করা হয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে কিছুদিন পাঠদান করা হয়েছিল। পরে স্কুলের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিকল্প হিসেবে টিনের চালাঘর তৈরি করা হয়। কিন্তু সেটি শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর জন্য যথেষ্ঠ না হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, স্কুলের ৩৭৩ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু বিপুল পরিমাণ এই শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রেণিকক্ষ সংকটের ভেতর দিয়েই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এর নিরসনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরী বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে কয়েকবার লিখিতভাবে বিদ্যালয়ের এই সমস্যাটির বিষয়ে অবগত করা হলেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্কুলের ভবন না থাকায় ও শিক্ষক সংকটের কারণে মান সম্মত লেখাপড়া নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. এনামূল হক জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। তবে স্কুল ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক স্কুল ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ভবন নির্মাণ অনুমোদন বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম চলছে বলেও তিনি জানান।