নিকলী উপজেলায় ১৭টি মণ্ডপে এবার সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই পূজাকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপজেলা জুড়ে বইছে উৎসবের হাওয়া ।
উপজেলার ১৭টি মণ্ডপেই ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন পূজার কেনাকাটায় দর্জিবাড়ি, তৈরি পোষাক, জুতা ও কসমেটিকের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। হাওর অর্থনীতিতে সকল শ্রেণির ব্যবসায়ির পালে এখন উত্তাল হাওয়া।
উপজেলার ১৭টি পূজামণ্ডপের মধ্যে নিকলী সদর ইউনিয়নে ৮টি, দামপাড়া ইউনিয়নের ৫টি এবং গুরুই ইউনিয়নে ৪টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ডেকোরেশন আর আলোক সজ্জার প্রস্তুতি। পূজা উদযাপন কমিটিগুলির অঘোষিত প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। নান্দনিক আর ব্যয়বহুল সাজ-সজ্জা দেখতে মণ্ডপগুলিতে শুরু হয়েছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বয়েসি মানুষের ভীড়।
উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল দেবনাথ জানান, নিকলীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোন ইতিহাস নেই। স্থানীয় মানুষ সকলেই পুজার নিরাপত্তায় কাজ করেন। তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খাঁন জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ বাহিনী, আনসারসহ পুজা উদযাপন কমিটি ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সভা করেছি। ১৪ অক্টোবর হতে জেলা থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিকলীতে দেবীর বিসর্জন পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।