অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। পররাষ্ট্র সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও তিনি। তিনি দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা ট্যাক্সেস বারের।
এতকিছুর পরেও তিনি একজন সাধারণ মানুষ। নিজেকে কৃষকের সন্তান পরিচয় দিতে করেন গর্ববোধ। অহমিকা কিংবা নিজেকে বড় কিছু ভাবা এ দুটোর কিছুই নেই তার মধ্যে। এ যেন সাধারণ জনতার, সাধারণ একজন এমপি।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত এমন কোন সপ্তাহ নেই, যে সপ্তাহে পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীতে বিচরণ করেন নি এ সংসদ সদস্য। সাধারণ জনতা তাকে সাধারণ একজন এমপি হিসেবেই মনে করেন।
তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদীর এমন কোন এলাকা নেই যেখানে ছুঁটে যান নি। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোকজনের সাথে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি।
পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর কোথায় কি উন্নয়ন করতে হবে, দলকে শক্তিশালী করার জন্য, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য কি করতে হবে এ নিয়েই এমপি সোহরাব উদ্দিনের রাত-দিন।
গত পৌনে পাঁচ বছরে পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদীতে তিনি যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন তা এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। তাই তাকে সাধারণ জনতা উপাধি দিয়েছেন পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর ‘উন্নয়নের রূপকার’।
গ্রামীণ রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মসজিদ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কোথায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া! হাওড় অঞ্চল না হওয়া স্বত্তেও তিনি পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীকে হাওড় অঞ্চল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে দুই উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তাই শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নয় অন্যান্য রাজনৈতিক মতাদর্শের সমর্থকরাও এমপি সোহরাব উদ্দিনের ভূয়সী প্রশংসায় মুগ্ধ।
অনেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যহারের অভিযোগ প্রায়ই পত্র-পত্রিকার শিরোনামে দেখা গেলেও এমপি সোহরাব উদ্দিন সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি একজন স্বচ্ছ ও উন্নয়নবান্ধব সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন।