কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


মাছ শিকার নাকি লুটের মহোৎসব!

 মো. রফিকুল হায়দার টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, কটিয়াদী | ২৬ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৩ | কটিয়াদী 


সহস্রাধিক লোক এক সঙ্গে নেমেছেন কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের ‘সুতী নদী’ জলমহালে। তাদের কারো হাতে পলো, কারো হাতে জাল আবার কারো হাতে মাছ ধরার বিচিত্র সব সরঞ্জাম। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে হাত বাওয়ার মাধ্যমে এভাবেই তারা ‘সুতী নদী’ জলমহালে দিনভর ব্যস্ত থাকে মাছ শিকারে।

তবে গণ এই মৎস্য শিকারকে লুট করে দাবি করছে সুতী নখলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। তাদের দাবি, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে প্রকাশ্য দিবালোকে সমিতির ইজারাকৃত ‘সুতী নদী’ জলমহালের মাছ লুট করা হয়েছে। এতে ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন সমিতির সদস্যরা।

সমিতি সংশ্লিষ্টরা জানান, সুতী নখলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. ‘সুতী নদী’ জল মহালটি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ১৪২৩-১৪২৮ বঙ্গাব্দ মেয়াদে বাৎসরিক ভ্যাট, ট্যাক্সসহ ২ লাখ ১১হাজার ৫০১ টাকা ইজারা মূল্যে ছয় বছরের জন্য লীজ গ্রহণ করে। ১৪২৩ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে লীজ গ্রহিতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর সমিতি এই জলমহালে মাছ চাষ করে আসছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি গত শনিবার (২০ অক্টোবর) জলমহাল থেকে মাছ আহরণ করতে গেলে সমিতির সদস্যরা বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এরকম পরিস্থিতিতে গত বুধবার (২৪ অক্টোবর) উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আশপাশের কয়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।

কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে পলো, জাল আর মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম নিয়ে মানুষের ঢল নামে ‘সুতী নদী’ জলমহালে। হাজারো মানুষ দিনভর মেতে ওঠেন মাছ শিকারে। তারা হাত বাওয়ার মাধ্যমে জলাশয়ের সব মাছ ধরে নিয়ে যান।

সমিতির সদস্য ইছব আলী বলেন, জলাশয় থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ায় আমরা ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আগামী বছরের সরকারি রাজস্ব প্রদান এবং এই জলমহাল পরিচালনা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম আকন্দ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিনের নেতৃত্বে করগাঁও, চান্দপুর, মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য বক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছিল। কিন্তু কিছু মানুষের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনাটি ঘটে গেছে।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর