ভৈরবে ট্রেন থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার চেক, এফডিআর ও নগদ টাকা এবং ফেনসিডিলসহ আটক হওয়া চট্টগ্রাম কারাগারের কারাধ্যক্ষ সোহেল রানা বিশ্বাস (৪২) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৯ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাহমুদ শুনানী শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোহেল রানাকে হেলমেট পরিয়ে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুন নূরের আদালতে সোপর্দ করে মাদকের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে ভৈরব জিআরপি থানার পুলিশ। বিচারক রিমান্ড আবেদনের শুনানির তারিখ সোমবার (২৯ অক্টোবর) ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
ওইদিনই ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ ধারায় এবং ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিল ৩/ক ধারায় জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটি দুদক এবং তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি রেলপুলিশ তদন্ত করবে।
গত শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে ভৈরব জংশনে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানা বিশ্বাসকে আটক করা হয়।
সোহেল রানা বিশ্বাস ময়মনসিংহ শহরের ১১৯, আর.কে মিশন রোডের বাসায় যাচ্ছিলেন। তার কাছ থেকে পুলিশ নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, স্ত্রী হোসনে আরা পপির নামে এক কোটি টাকার এফডিআর, শ্যালক রকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকার এফডিআর ও ১২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে।
সোহেল রানার বাসা ময়মনসিংহ শহরে হলেও তিনি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পেড়াগন্ধালিয়া গ্রামের জিন্নত আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলার (কারাধ্যক্ষ) পদে কর্মরত রয়েছেন।