স্বামী মারা যাওয়ার ৪৮ বছর পর অবশেষে বিধবা ভাতার কার্ড পেয়েছেন হোসেনপুরের হতদরিদ্র মালেহা খাতুন। হোসেনপুর পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের ঢেকিয়া গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর স্ত্রী মালেহা খাতুনের হাতে সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিধবা ভাতার কার্ড তুলে দেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপসচিব তরফদার মো. আক্তার জামীল।
জীবন সায়াহ্ণে এসে বিধবা ভাতার কার্ড পেয়ে বয়োবৃদ্ধা মালেহা খাতুনের চোখে-মুখে ঠিকরে পড়ছিল খুশির আভা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত ৩ জুন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ‘হোসেনপুরে বিধবা ভাতার কার্ড জুটেনি মালেহার ভাগ্যে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশিত সংবাদটি নজরে আসে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপসচিব তরফদার মো. আক্তার জামীল তাৎক্ষণিকভাবে মালেহা খাতুনের নামে একটি বিধবা ভাতার কার্ড বরাদ্দ করেন।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে সেই কার্ডটি তুলে দেয়া হয় মালেহা খাতুনের হাতে। পাশাপাশি এই সময়ে মালেহা খাতুনের বিধবা ভাতার অনুকূলে জমা হওয়া ছয় হাজার টাকা তুলে দেয়া হয় তার হাতে।
হোসেনপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে এই কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপসচিব তরফদার মো. আক্তার জামীল ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমল কুমার ঘোষ, পৌর মেয়র মো. আব্দুল কাইয়ুম খোকন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার খলিলুর রহমান সরকার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাদিকুর রহমান, হোসেনপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও মানবজমিন প্রতিনিধি মিছবাহ উদ্দিন মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিধবা ভাতার কার্ড আর নগদ টাকা পেয়ে উচ্ছ্বসিত মালেহা জানান, তার কাছে আজকের দিনটি খুবই আনন্দের একটি দিন। জীবনের শেষ বয়সে বিধবা ভাতার কার্ড পাওয়ায় তিনি বর্তমান সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।