মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তা স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়ন তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে আসন্ন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, নৌকা বিজয়ী না হলে দেশ তার চলমান উন্নয়ন যাত্রা থেকে ছিটকে পড়বে, স্বাধীনতার ধারা থেকে দেশ ছিটকে পড়বে। আজকে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা আর স্বাধীনতার মেকি চেতনাধারীরা হাত মিলিয়েছে। এবারের নির্বচনকে কেন্দ্র করে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা সকলের কর্তব্য।
বিএমএ জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুব ইকবালের সভাপতিত্বে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের নার্সিং ইনস্টিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তা এসব কথা বলেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বাচিপ সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আনম নৌশাদ খান, জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. সজল কুমার সাহা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান, জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ, বিএমএ সম্পাদক ডা. এমএ ওয়াহাব বাদল, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সনাক সভাপতি সাইফুল হক মোল্লা দুলু, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মহসীন, ডা. হালিমা আক্তার, জেলা নার্সেস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সালাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে গোটা জাতি ৯ মাস যুদ্ধ করে ৩০ লাখ শহীদ আর দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। আজকে আমাদের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করার জন্য একটি সংঘবদ্ধ শক্তি সক্রিয় রয়েছে। তারা সুযোগ পেলেই স্বাধীনতার ইতিহাস ও চেতনাকে আঘাত করতে চায়, বিকৃত করতে চায়, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির ওপর হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ তার সঠিক পথ ধরে এগুতে পারবে না।
আজকে নতুন প্রজন্মকে নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদেরকে ভাবতে হবে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে, পেশাজীবীদের উন্নয়ন হবে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিল। বিশাল জনবলের চাকরি হয়েছিল, তৃণমূলের জনগণ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছিল। কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর এসব ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসে বর্তমান সরকার আবার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। মানুষের এখন আর আগের মত অভাব নেই। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু হচ্ছে। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে।
এসময় সমবেত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ হাত তুলে নৌকার পক্ষে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।