কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত

 সোহেল সাশ্রু, ভৈরব | ২৩ জুন ২০১৯, রবিবার, ১২:৩২ | ভৈরব 


ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র দ্বি-বার্ষিক (২০১৯-২০২১) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আলহাজ্ব মো. হুমায়ূন কবির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে হাজী মোশাররফ হোসেন এবং সহ-সভাপতি পদে আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাহিদুল হক জাবেদ নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত একটানা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের প থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।

সভাপতি পদে আলহাজ্ব মো. হুমায়ূন কবির ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৫৭৩ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ আহমেদ মারুকী শাহীন পেয়েছেন ১২৭ ভোট। রিয়াজ আহমেদ মারুকী শাহীন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে হাজী মোশাররফ হোসেন ১০৭৬ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতাউর রহমান কামাল পেয়েছেন মাত্র ২০৫ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাহিদুল হক জাবেদ ৬৭৭ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু কাউছার খন্দকার পেয়েছেন ২৯১ ভোট। অপর দুই প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২৪৬ এবং মনির হোসেন পেয়েছেন ৭৫ ভোট।

এদিকে নির্বাচনে পরিচালক পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এরা হলেন মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (১০৫৭ ভোট), তারেক আহমেদ ভূঁইয়া (১০৩৮ ভোট), সৈকত আহমেদ জেম্স (১০৩৫ ভোট), কাজী মাসউদ উর রহমান (১০৩৪ ভোট), আনোয়ার হোসেন ইমরান (১০৩৩ ভোট),  হাজী মো. সাজ্জাদ হোসেন মামুন (১০২৩ ভোট), মো. নিজাম উদ্দিন সরকার (৯৮৮ ভোট),  মো. হোসেন আলী (৯৭২ ভোট), রাকিব হাসান রকি (৯৬৯ ভোট), হাজী মো. এমরান মোল্লা তুহিন (৯৬৮ ভোট), মো. দেলোয়ার হোসেন (৯৬২ ভোট), মো. সোহেল মিয়া (৯৫৮ ভোট), হাজী মো. আলাল উদ্দিন (৯৫২) ও  মোবারক হোসেন (৯৩১ ভোট)।

এছাড়া সহযোগী সদস্যদের মধ্য থেকে ৪ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরা হলেন মো. সুজন মিয়া, নিজাম মাহমুদ জুয়েল, মো. আব্দুর রশিদ ও মো. আক্তারুজ্জামান।

ভৈরব চেম্বারের ১৩১৮ জন সাধারণ ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ১২৮৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।

চলতি (২০১৯-২০২১) নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য অধ্যাপক জিতেন্দ্র চন্দ্র দাশকে প্রধান এবং সিনিয়র শিক মো. আলকাছ মিয়া ও সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়াকে সদস্য করে তিন সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

গত ২২ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, পরিচালক ও সহযোগী পরিচালক পদে মোট ৩০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। শহরের জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এই মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়।

২৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। ওই তারিখে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়নি। মনোনয়নপত্র বাতিল সম্পর্কে আপিল বোর্ডের নিকট আপিল দাখিলের তারিখ ও নিষ্পত্তির তারিখ ছিল ২৮ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

বৈধ মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৯ মে বুধবার সকাল ১১টায়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ নির্ধারিত ছিল ৩১ মে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ওই তারিখে কোনো প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় ৩০ জনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচন শেষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক জিতেন্দ্র চন্দ্র দাশ তৃপ্তি প্রকাশ করে জানান, একটি উৎসবমূখর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নদীবন্দর এবং বাণিজ্যকেন্দ্র ভৈরবের ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে পারেন, সেইজন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে।

তিনি একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালানায় সার্বিক সহায়তার জন্য স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সকল ভৈরববাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর