ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ত্রিবদির রতনদি এলাকার ক্যান্টাকি গার্মেন্টের সামনে বাস-লরি সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ১০ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আরো অন্তত ২৬ জন যাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
হতাহতের এই তালিকায় তাড়াইলের একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, তাড়াইলের কাজলা চকপাড়ার মিজান মিয়ার স্ত্রী হেনা (২০) ও মিজান মিয়ার ছোট ভাই রহিম (৭)। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন মিজান মিয়া (২৫)। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ত্রিবদি রতনদী এলাকার ক্যান্টাকি গার্মেন্টের সামনে মো. ইয়াসিন (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-০৮২৬) নামের একটি চট্টগ্রামগামী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে থামানো একটি লরিকে (ঢাকা-মেট্রো-ঢ-৮১-০২৭৯) পিছন দিক দিয়ে সজোড়ে ধাক্কা দিলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর নিহত হেনা ও রহিমের লাশ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাড়াইলের কাজলা চকপাড়ায় নিয়ে আসার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের স্বজনেরা। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, মিজান তার স্ত্রী হেনা ও সাত বছর বয়সী ছোট ভাই রহিমকে নিয়ে ঢাকা থেকে ফেনী যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামগামী বাসটির যাত্রী হন। কিন্তু পথে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ত্রিবদি রতনদী এলাকার ক্যান্টাকি গার্মেন্টের সামনে বাস-লড়ির সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই হেনা ও তার দেবর রহিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর আহত হন মিজান। মিজানকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও স্বজনেরা জানিয়েছেন।