কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


প্রেমে ভাঙন মেনে নিতে না পেরে ইলমিকে ব্লেডের পোচে রক্তাক্ত করে ইমরান

 স্টাফ রিপোর্টার | ১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৬:০৫ | কিশোরগঞ্জ সদর 


দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সৈয়দা ইলমি সুলতানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সহপাঠী মো. ইমরানের। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে অগ্রাহ্য করে সম্প্রতি ইমরানকে এড়িয়ে চলে ইলমি। প্রেমের সম্পর্কে এই ভাঙন মেনে নিতে না পেরে ইলমিকে উপর্যুপরি ব্লেডের আঘাতে রক্তাক্ত করে ইমরান।

আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য দিয়েছে মো. ইমরান (২১)। রোববার বিকালে কিশোরগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. একরামুল হক শামীম তাঁর খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় ইমরানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর ইমরানকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার মধ্যরাতে জেলার বাজিতপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান ও পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স এন্ড কমিউনিটি পুলিশিং) এসএম শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

মো. ইমরান কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহরের নগুয়া হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা মো. রতন মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারের পর মো. ইমরানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই তোফায়েল হোসেন।

অন্যদিকে আহত সৈয়দা ইলমি সুলতানা (২১) ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং তাড়াইল উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রামের অ্যাডভোকেট সৈয়দ সেলিম জাহাঙ্গীরের মেয়ে। অ্যাডভোকেট সৈয়দ সেলিম জাহাঙ্গীর সপরিবারের শহরের হারুয়া এলাকায় বসবাস করেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে শহরের নীলগঞ্জ রোড এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের খরমপট্টি এলাকার ম্যাপল স্কুলের সামনে ইমরান তার সাথে থাকা ব্লেড দিয়ে ইলমির মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশ ও ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর বাবা অ্যাডভোকেট সৈয়দ সেলিম জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মো. ইমরানকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর ইমরানকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাজিতপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর