কুলিয়ারচরে এক রবিদাস পরিবারের দশম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে মুসলমান ছেলে অপহরণ করার ২৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি। পরিবার থানায় মামলা করে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও মেয়ের কোন সন্ধান পাচ্ছে না।
কুলিয়ারচরের ছয়সূতি গ্রামের বাসিন্দা মেয়েটির বাবা সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তিনি বিআরটিসি বাসের চালক হিসেবে সিলেটে থাকেন। তার মেয়ে স্থানীয় হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ছে। প্রতিবেশি চা বিক্রেতা আব্দুল মালেকের (৫৫) ছেলে মাইক্রোর হেলপার নাইম ইসলাম (২০) মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করতো। এ ব্যাপারে নাইমের পরিবারকে জানালেও পাত্তা দেয়নি। নাইম প্রায়ই মেয়েটিকে অপহরণ করবে বলে হুমকি দিত।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিবেশি লিটন মিয়ার স্ত্রী রীনা বেগম (২৪) মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর নাইম ইসলাম মেয়েটিকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে তুলে পালিয়ে যায়। বাড়ির বাইর মেয়ের দুটি জুতা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ধস্তাধস্তির আলামতও পাওয়া গেছে।
এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে তার বাবা ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে কুলিয়ারচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণকারী নাইম ইসলাম, তার বাবা আব্দুল মালেক, রীনা বেগম ও সিএনজি চালক নাছির মিয়াকে (২৫) আসামী করে মামলা (নং ১৩) দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামীরা ধরা পড়েনি।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার ওসি নান্নু মোল্লাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।