কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


ঈদ আনন্দ বাজারে বিনামূল্যে দরিদ্র ক্রেতারা ‍কিনলেন শাড়ি-লুঙ্গিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য!

 বিশেষ প্রতিনিধি | ২৪ মে ২০২০, রবিবার, ৯:২৮ | বিশেষ সংবাদ 


বাড়ির আঙ্গিনায় নির্ধারিত দুরত্ব রেখে টেবিলে সাজানো শাড়ি-লুঙ্গি, পোলাও চাল, দুধ, চাল, ডাল, চিনি, লবণ, সাবান-শেম্পুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। প্রতিটি টেবিলের পেছনে এক জন করে বিক্রেতা দাঁড়ানো।

কোন হৈ-হুল্লোড় নেই। চার থেকে পাঁচ জন ক্রেতা প্রবেশ করছেন বাজারে। সেখান থেকে যে যার মতো পছন্দের পন্য নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। এ জন্য গুণতে হচ্ছেনা কোন টাকা!

শনিবার (২৩ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকায় নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় ব্যাতিক্রমি এ বাজারের আয়োজন করেন, কিশোরগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত করিম অমি।

কিশোরগঞ্জে পরিবেশ বান্ধব ঈদ আনন্দ বাজার থেকে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিনামূল্যে ঈদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিলেন দরিদ্র মানুষ।

আর এ বাজার থেকে বিনামূল্যে শাড়ি-লুঙ্গিসহ উন্নত মানের ঈদ সামগ্রী পেয়ে খুশি ক্রেতারা। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতেই এমন আয়োজন বলে জানালেন আয়োজকরা।

সামাজিক সচেতনতা বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে এনায়েত করিম অমি তার বাড়ির সামনে আয়োজন করেন ব্যতিক্রমি পরিবেশ বান্ধব ঈদ আনন্দ বাজার।

বাসার গেইটের বাইরে লাইনের দাঁড়ানো ক্রেতাদের মধ্য থেকে জীবানুনাশক স্প্রে, হাতধোয়া ও মাস্ক পরার পর বাজারে প্রবেশ করতে দেয়া হয় ক্রেতাদের।

বাজারে প্রবেশের প্রথম টেবিলে রাখা হয় বাজারের ব্যাগ। ব্যাগ হাতে নিয়ে ক্রেতারা প্রতিটি টেবিল থেকে একটি করে পণ্য নিজের হাতে ব্যাগে ভরে ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে। ভিড় এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারলেও দিতে হচ্ছে না মূল্য। এমন আয়োজনে খুশি ক্রেতারা।

শহরের নগুয়া এলাকার বাসিন্দা রহিমা জানান, ‘এই বাজারে সওদা নিতে এসে নিজের ধারণাই পাল্টে গেছে। বিনামূল্যে যে পরিমাণ জিনিস পাইলাম- তা দিয়ে ঈদের পরও কয়েক দিন চলবে। আর করোনা থেকে কিভাবে সচেতন হওয়া যায় সেটাও শিখলাম।’

জেলা সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের সমন্বয়কারী  এবং জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত করিম অমি বলেন, চলামান করোনা সংকট সহজেই কাটছে না। লম্বা সময় স্থায়ী হতে পারে এই মহামারি। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সচেতনভাবে চালাতে হবে জীবন।

আর দরিদ্রদের সহযোগিতার পাশাপাশি সামজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উৎসাহিত করতেই এমন আয়োজন। ব্যতিক্রমি মানবিক ঈদ আনন্দ বাজারের মাধ্যমে দুই শত পরিবারে বিনামূল্যে ঈদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির শুরু থেকেই এনায়েত করিম অমির ব্যাক্তিগত উদ্যোগে শহরে হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন ছাড়াও প্রায় তিন হাজার দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দেয়া হয় শিশু খাদ্য।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর