কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


দারোগার থাপ্পড়ে অজ্ঞান হয়ে শিশু হাসপাতালে

 স্টাফ রিপোর্টার | ৭ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৬:০৩ | পাকুন্দিয়া  


পাকুন্দিয়ায় মুখলেছুর রহমান নামে থানার এক এএসআই এর বিরুদ্ধে বধির শিশুকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে। দারোগার অমানবিক এই নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম মোফাজ্জল মিয়া (১৩)। সে উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বর্বরোচিত ঘটনার পর অজ্ঞান অবস্থায় শিশুটিকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানে ভর্তি করে শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সঞ্জয় দাস রাতে ভর্তি করার পর শনিবার সকালে আরেকদফা দেখে মোফাজ্জলকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু শনিবার দুপুরে মা ও স্বজনেরা মোফাজ্জলকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে নিয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্যাতনকারী দারোগার পক্ষ হয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। প্রভাবশালী মহলটির চাপের মুখেই শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় পরিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হন।

অভিযোগে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামের চা দোকানি মিলন মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি ফালু মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি ফালু মিয়া এ ব্যাপারে আদালতে অভিযোগ করলে আদালত ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ প্রদান করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকুন্দিয়া থানার এএসআই মুখলেছুর রহমান আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির এ নোটিশ নিয়ে মান্দারকান্দি গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় বাড়ির সামনে মিলন মিয়ার বধির শিশু সন্তান মোফাজ্জলকে মিলন মিয়া কোথায় জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু; বধির শিশু মোফাজ্জল দারোগা মুখলেছের এ প্রশ্ন শুনতে এবং উত্তর দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি মোফাজ্জলের কানচাপায় প্রচণ্ড জোরে চড়-থাপ্পড় দেন। আর তাতে মফাজ্জল অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে গুরুতর অবস্থায় পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্ভি করা হয়।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর