বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিলেন তাড়াইলের হাসিখুশি যুবক ঝুটন ভৌমিক (৪৫)। ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে নাড়ির টানে দেশের মাটিতে ফিরেও এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটারের দূরত্বে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালেই ঝরে গেলেন এই যুবক। চিরচেনা বাড়িতে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ঝুটন ফিরলেন ঠিকই, কিন্তু নিথর দেহে।
শনিবার পহেলা বৈশাখের সকালে প্রাণের উৎসবে যখন সবাই ব্যস্ত, ঠিক তখন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল-তাড়াইল সড়কের কলাপাড়া ভাণ্ডারী মোড়ে ঘটে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে পাওয়ার ট্রলির সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সিএনজি চালক সোহেল। সিএনজির তিন যাত্রী ছিটকে পড়েন সড়কে। তাদেরই একজন ঝুটন ভৌমিক। গুরুতর আহত ঝুটন ভৌমিককে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
ঝুটন ভৌমিক তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের শামুকজানি গ্রামের দীপক ভৌমিকের ছেলে। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। এলাকায় ডা. ঝুটন ভৌমিক নামে তিনি পরিচিত। তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ডা. ঝুটন ভৌমিকের এই অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নান্দাইল মডেল থানার এসআই মো. জালাল জানান, দুর্ঘটনাটি নান্দাইল-তাড়াইল সড়কের বড়াইল ভাণ্ডারীর মোড় এলাকায় ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি তাড়াইল উপজেলার দিকে যাচ্ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশাটি সড়কের বড়াইল ভাণ্ডারীর মোড় এলাকায় পৌছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিনচালিত পাওয়ার ট্রলির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে অটোরিকশার চালক সোহেল ঘটনাস্থলে নিহত হন। এর তিন যাত্রী ছিটকে সড়কে ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন। লোকজন আহতদের হাসপাতালে পাঠায়। পরে ঝুটনকে নেওয়ার পথে মারা যান।