কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


হোসেনপুরে মাধ্যমিকে পুনঃভর্তির জন্য রশিদবিহীন টাকা আদায়ের অভিযোগ, স্মারকলিপি প্রদান

 মো. জাকির হোসেন, হোসেনপুর | ২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ৬:৫৩ | হোসেনপুর 


কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফির নামে গলাকাটা ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারার কারণে বই না পেয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেও কোন প্রতিকার পাননি।

এ পরিস্থিতিতে রোববার (২৪ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

হোসেনপুর উপজেলা শাখার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক হাসনা আক্তার ও সদস্য সচিব মো. দ্বীন ইসলাম এর নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের আগে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এর আহ্বায়ক হাসনা আক্তার বলেন, সারাদেশে করোনা মহামারীর কারণে এক বছর যাবত দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় সরকার গত বছরের ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপন জারি করে টিউশন ফি ব্যতিত অন্য কোন ফি নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহকে নিষেধ করা সত্ত্বেও হোসেনপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ এ সকল নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদবিহীন ভর্তি ফির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।

সরকার কোভিড-১৯ থাকা সত্ত্বেও ১ জানুয়ারি সারা দেশে ভার্চুয়ালী বই উৎসব করলেও গরীব ও অসহায় কর্মহীন অভিভাবকের সন্তানরা শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের আগে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের মা সবুজা আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী হাসিম উদ্দিন একজন অটোরিকশাচালক। কিছুদিন পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী গুরুতর আহত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দী রয়েছেন।

তার দুই মেয়ের ভর্তির জন্য স্কুল থেকে দুই হাজার ৪শ’ টাকা দাবি করা হয়। তার কাছ থেকে ৯২৫ টাকা আদায় করে এক মেয়েকে ভর্তি করা হলেও আরেক মেয়ে তানিয়াকে ভর্তি করানো হয়নি বাকি টাকা দিতে না পারার কারণে।

এ রকম আরো অনেকের মত ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারের পিতা আলফাজ মিয়া, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিলয় এর পিতা ধনু রঞ্জন জানান, তাদের কাছ থেকে এক হাজার ৩৫০ টাকা নেওয়া হলেও কোন রশিদ দেওয়া হয়নি।

স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে বিগত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) গোবিন্দপুর চৌরাস্তা বাজার এলাকায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ রশিদবিহীন অতিরিক্ত ফির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছিলেন।

এর প্রতিকার না পেয়ে রোববার (২৪ জানুয়ারি) শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর