কিশোরগঞ্জে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ মেহেদী হাসান সবুজ (২০) নামে চোরচক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের রথখলা এলাকার সুইপার কলোনী মোড় থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে চুরি করা মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। এ সময় সিএনজি অটোরিকশায় থাকা চোরচক্রের দুই সদস্য পালিয়ে যায়।
আটক হওয়া মোটর সাইকেল চোরচক্রের সদস্য মেহেদী হাসান সবুজ পাকুন্দিয়া উপজেলার পাকুন্দিয়া মধ্যপাড়ার আব্দুল সাহিদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল উপজেলা মোড় এলাকার হাজী আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে উসমান গণি সোহাগ তার খালাতো ভাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ উলুহাটির মো. মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আসাদ মিয়ার মোটর সাইকেলটি শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের গাইটাল অক্টোর মোড়ের এক বাসার সামনে রেখে ওই বাসায় যান। এই সুযোগে চোরচক্র মোটর সাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যায়। মিনিট দশেক পর বাসা থেকে বেরিয়ে উসমান গণি সোহাগ দেখতে পান, মোটর সাইকেলটি নেই।
বিষয়টি কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ মোটর সাইকেলটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সুইপার কলোনী মোড়ে সিএনজি দিয়ে মোটর সাইকেলটি নিয়ে পালানোর সময় মোটর সাইকেল চোরচক্রের সদস্য মেহেদী হাসান সবুজকে আটক করে। এ সময় সিএনজিতে থাকা চোরচক্রের অপর দুই সদস্য পাকুন্দিয়ার বড় আজলদী গ্রামের সুলতান উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল ওরফে নাক কাটা সোহেল ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের স্বদেশী গ্রামের সাহাজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন ওরফে গাল কাটা হুমায়ুন পালিয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, এ ঘটনায় আটক মেহেদী হাসান সবুজ এবং পলাতক মো. সোহেল ওরফে নাক কাটা সোহেল ও হুমায়ুন ওরফে গাল কাটা হুমায়ুন এই তিনজনের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল মালিক মো. আসাদ মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন।