www.kishoreganjnews.com

কটিয়াদীতে আমনে ধাক্কা, রবিশস্যে ব্যাপক ক্ষতি



[ রফিকুল হায়দার টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, কটিয়াদী | ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার, ৫:৪৭ | কৃষি ]


আমন ধান কটিয়াদী উপজেলার চাষিদের প্রধান অর্থকড়ি ফসল। উপজেলার ১টি পৌর ও ৯টি ইউনিয়নের ১২হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়। ধান রোপণের পর থেকে শুরু হয় কৃষকের অধির অপেক্ষা। কখন সোনালী ফসল ঘরে তুলবেন। আনন্দ-সুখে ছেলে মেয়ে আত্মীয় স্বজন নিয়ে পিঠা পায়েস খাবেন। চাহিদার অতিরিক্ত ধান বিক্রি করে সংসারের খরচ মেটাবেন।

কিন্তু এ বছর আমন ধান রোপণের সময় কৃষককে পড়তে হয়েছে নানা প্রতিকুলতায়। বীজ সংকটের কারণে চাষিদের সময় মতো বীজতলা তৈরীতে হিমশিম খেতে হয়। সরকার নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা চড়া দামে আমন বীজ সংগ্রহ করতে হয়েছে তাদের। অধিক মূল্যে বীজ বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪জন বীজ ব্যবসায়ীকে ৮৫হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। রোপণের পরে ধানের চারা যখন একটু বড় হয়েছে তখন মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা ও খোল পচা রোগের আক্রমণ ছিল। কৃষি অফিসের সহায়তায় এর উত্তরণ হলেও কার্তিকের প্রথম দিকে টানাবর্ষণ ও দমকা হাওয়ায় বহু জমির ধানের শীষ নুইয়ে পড়ে। এতে ফলনের কিছুটা ক্ষতি হয়। তারপরও আশায় বুক বাধে কৃষক। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে থাকেন, যেন ভাল ফলন ঘরে তুলতে পারেন।

এ বছর শত প্রতিকূলতায়ও আমন ধানের ভাল ফলন হয়। অগ্রহায়নের শুরুতেই ধান কাটা শুরু হলেও দেরিতে পাকা ধান কেটে মাড়াইয়ের জন্য জমিতেই বিছিয়ে রেখেছেন। একটু শুকালেই জমিতেই মাড়াই করে ঘরে তুলবেন সোনালী ধান।

কিন্তু ঘরে তোলার আগেই তিন দিনের টানা বর্ষণে কৃষকের আর শেষ রক্ষা  হলো না। যেন আমন যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে কৃষক এখন দিশেহারা। তাছাড়া বোরো ধানের বীজতলা, রবি শস্যেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই টানা বর্ষণে।

আমন ফসলের উপর নির্ভরশীল আচমিতা ইউনিয়নের হারিনা গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান এবং পাঁচগাতিয়া গ্রামের উজ্জল মিয়া জানান, একের পর এক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অনেক আশায় বুক বেধে ছিলাম। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে তা বুঝে ওঠতে পারছি না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, আমন ধান কেটে জমিতে বিছিয়ে রাখতে নিষেধ করলেও কৃষক তা না মানায় তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সরকারি ভাবে এ ক্ষতির কোন পরিমাণ নির্ধারণের নির্দেশনা না থাকায় আমরা তা করিনি।

তিনি আরও বলেন, ১০০হেক্টর বোরো বীজতলা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাত আর না হলে তেমন ক্ষতি হবে না। রবিশস্য ৫০০ হেক্টর জমি বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ২০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে।



[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর



















প্রধান সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম

সম্পাদক: সিম্মী আহাম্মেদ

সেগুনবাগিচা, গৌরাঙ্গবাজার

কিশোরগঞ্জ-২৩০০

মোবাইল: +৮৮০ ১৮১৯ ৮৯১০৮৮

ইমেইল: kishoreganjnews247@gmail.com

©All rights reserve www.kishoreganjnews.com