কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


কিশোরগঞ্জে উলফা নেতা মেজর রঞ্জন ও সহযোগীর ১০ বছরের কারাদণ্ড

 স্টাফ রিপোর্টার | ৩১ আগস্ট ২০২২, বুধবার, ৭:০০ | বিশেষ সংবাদ 


ফাইল ছবি।

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা মেজর রঞ্জন চৌধুরী উরফে প্রদীপ রায় (৫৯) ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাক (৬৯) কে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন দুই আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার লক্ষীপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় মেজর রঞ্জন ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে আটক করে র‌্যাব-৯ এর একটি দল।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, হাত বোমা তৈরীর উপকরণসহ ৪টি বোমা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. করিমুল্লাহ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেন।

২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি মেজর রঞ্জন চৌধুরী ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে দায়েরকৃত ৩টি মামলায় আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।

২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে সন্ত্রাস বিরোধী ও অস্ত্র আইনের দু’টি মামলায় রায় হয়। রায়ে উলফার শীর্ষ নেতা মেজর রঞ্জন চৌধুরী উরফে প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা দুই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কিশোরগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল।

অন্যদিকে তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অস্ত্র আইনের মামলায় বেকসুর খালাস দেয় ট্রাইব্যুনাল।

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সহযোগী রঞ্জন চৌধুরী উরফে মেজর রঞ্জন উরফে প্রদীপ রায় আসামের ধুবড়ি জেলার গৌরিপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসুধন রায়ের পুত্র।

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার গজনির বাসিন্দা মনিন্দ্র হাগিদ-এর মেয়ে রাবিত্র ভ্রমকে বিয়ে করে তিনি গোপনে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন।

এ সময় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার পুত্র প্রদীপ মারাক তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর