কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


কিশোরগঞ্জের ৬ আসনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

 আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সম্পাদক, কিশোরগঞ্জনিউজ.কম | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ২:২৩ | এই মুহূর্তের খবর 


কিশোরগঞ্জে রাজনৈতিক সহাবস্থানের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ৬টি আসনের সবকটিতেই বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এর মধ্যে ৫টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং ১টি আসনে মহাজোটের অংশীদার জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচ সংসদ সদস্যের সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে মো. আফজাল হোসেন এবং কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নাজমুল হাসান পাপন নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হককে হারিয়ে নির্বাচিত হন।

কিশোরগঞ্জ জেলার নির্বাচিত এই ছয় সংসদ সদস্যের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। মুজিবুল হক চুন্নু শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি প্রেসিডেন্ট-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভিভিআইপিদের এ জেলায় আগামী নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। উন্নয়নের স্লোগানকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরেই বর্তমান সংসদ সদস্যরা ছুটছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় তিনি ছাড়া এই জেলার বাকি পাঁচ সংসদ সদস্যই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জাতীয় পার্টির হাইপ্রোফাইল নেতা হিসেবে মুজিবুল হক চুন্নু ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে তাঁর নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন। তবে আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এবার জোরেশোরে দলীয় প্রার্থীর দাবিতে সরব রয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নাজমুল হাসান পাপন এবং কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক কে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতাটুকুই কেবল বাকি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এছাড়া কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন এবং কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে মো. আফজাল হোসেন কঠিন মনোনয়নযুদ্ধে পড়লেও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী।

অন্যদিকে বিএনপিতে শুরু হয়েছে মনোনয়ন লড়াই। এবারের নির্বাচনে ফলাফল নিজেদের অনুকূলে নিতে মরিয়া হয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে দলটি। যে কারণে আগামী নির্বাচনে নিজেদের আসন ধরে রাখাটাই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ফলাফল যাই হোক এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের সাথে বিএনপির প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন এ আসনের সাধারণ ভোটারেরা।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর): এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়াও আরো ১০ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তবে সৈয়দ আশরাফকে সামনে রেখেই আগামী নির্বাচনে এ আসনে লড়তে চায় আওয়ামী লীগ। তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং না নেয়া নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

এ আসনে আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দুই সহোদর মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় উপ-কমিটির সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারি কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি শিক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ সাদী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদ, বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলশান আরা বেগম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পাঠাগার সম্পাদক অধ্যক্ষ এম এ হান্নান।

আওয়ামী লীগের মতো বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। সাবেক এমপি মো. মাসুদ হিলালী, সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউলাহ রাব্বানী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, কিশোরগঞ্জ সদরের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত মাও. আতাউর রহমান খানের ছেলে মাওলানা ওবায়দুর রহমান নদভী, হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মবিন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই মির্জা খোকন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আবদুস সালামের ছেলে আফজাল সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোফাজ্জল হোসেন নিটুল ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া): এ আসনে এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় আওয়ামী লীগের অন্তত ১২ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন, সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর, আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু, কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তারিকুল মোস্তাক রানা, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান, প্রয়াত সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. আবদুল মান্নানের ছেলে অটিজম বিশেষজ্ঞ ডা. মাজহারুল মান্নান পার্থ এবং প্রয়াত কমান্ডার মোহাম্মদ বজলুর রহমানের ছেলে ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।

অন্যদিকে এই আসনে বিএনপির আলোচিত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশফাক আহমেদ জুন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান কাকন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবুল হোসেন মোশাহিদ প্রমুখ।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল): এ আসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়বেন, এটা নিশ্চিত। তবে জোটের ক্ষেত্রে এবার আর তাঁকে ছাড় দিতে চাচ্ছেন না আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর অংশগ্রহণের দাবিকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নেতারা বেশ জোরেসোরেই নির্বাচনমুখী তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন।

দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় এ আসনে আওয়ামী লীগের অন্তত ১৯ জন নেতা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হক, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শিল্পপতি নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহবুব ইকবাল, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. এরশাদ উদ্দিন, বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক, আইটি ব্যবসায়ী শেখ কবির আহমেদ, ড. আনিছুর রহমান আনিছ, করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল কাইয়ুম ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতা রয়েছেন।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল মো. গাউস, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন প্রমুখ আলোচনায় রয়েছেন।

তবে এ আসনে ড. এম ওসমান ফারুকের প্রার্থী হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে ড. এম ওসমান ফারুককে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয় শিবিরেই দুঃশ্চিন্তা রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম): এ আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবারও এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন, সেটা অনেকটা নিশ্চিত। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের আশায় রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ছাড়াও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান।

অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। এছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, সৈয়দ মহিতুল ইসলাম অসীম, সাবেক এমপি ফরহাদ আহমেদ কাঞ্চন এর ছেলে ড্যাব নেতা ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকী এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি সুরঞ্জন ঘোষ বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী): এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন ছাড়াও আরো অন্তত ১৪ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তবে এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে বলে দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন ছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ একেএম নূরুন্নবী বাদল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ মুহাম্মদ শাহ নূর প্রমুখ আলোচনায় রয়েছেন।

অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, বাজিতপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এহেসান কুফিয়া, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সালেহুজ্জামান খান রুনু,  জেলা বি.এন.পি’র যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শফিকুল আলম রাজন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ নাসির এর নাম উচ্চারিত হচ্ছে বেশ জোরেশোরে।

এ আসনে মুসলীম লীগ সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন খসরু এবং জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. রমজান আলীও জোটের মনোনয়নে প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর): আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিসিবি সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন (সিআইপি) দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এছাড়া ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেষার হোসেন বেনুও দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের প্রার্থিতা নিশ্চিত বলে দাবি করছে বিএনপির সূত্রগুলো। তবে এ আসনে ভৈরব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিনও দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর