কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


কটিয়াদীতে ৬ মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুল ছাত্রী

 মো. রফিকুল হায়দার টিটু, কটিয়াদী | ২৭ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৬:২৩ | কটিয়াদী 


কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অপহরণের ছয় মাস পরও উদ্ধার হয়নি ইভা আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী। গত ১৩ জানুয়ারি রসমালাইয়ে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারই এক প্রতিবেশী।

এ ঘটনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতামাতা শঙ্কিত। তাদের ধারণা, মেয়েকে হত্যা করে গুম করা হয়েছে কিংবা পাচার করা হতে পারে!

ইভা আক্তার উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামের মুস্তাকিম ভূইয়ার মেয়ে এবং হাজেরা সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

এ ব্যাপারে অপহৃত ছাত্রীর পিতা মুস্তাকিম ভূইয়া বাদী হয়ে মজিবুর রহমানের পুত্র নাসির মিয়ার (২৮) বিরুদ্ধে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়ে অপহৃত হওয়ার ছয় মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি তার কোন সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ।

অপহৃত ইভার পিতা মুস্তাকিম ভূইয়া জানান, নাছির মিয়ার শিশুকালে তার পিতা-মাতার বিচ্ছেদ ঘটে। সে তার মায়ের সাথে নানার বাড়িতে বড় হয়। আমার বাড়ি ও তার নানার বাড়ি একই গ্রামে পাশাপাশি হওয়ায় আমাদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল তার। গ্রামীণ পরিবেশে স্বাভাবিক যেমনটি হয়ে থাকে।

কিন্তু কখনো বুঝতে পারিনি সে আমার এমন সর্বনাশ করবে। সে ইতিপূর্বে তিনটি বিয়ে করেছে। সে একজন প্রতারক ও লম্পট প্রকৃতির লোক। কিছু দিন পর পর বিয়ে করে। ঠুনকো অজুহাতে আবার বিচ্ছেদও ঘটায়। অপহরণকারী নাছিরকে গ্রেপ্তার ও আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি বাড়ির পাশে মেলা থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নাছির রসমলাই কিনে তার মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে রাত ১১টার দিকে ইভার দাদির ঘরে যায়। তাদের সাথে গল্প করে, মেলা থেকে রসমলাই এনেছি বলে দাদি ও নাতনিকে কৌশলে খাওয়ায়। গভীর রাতে উভয়ই অচেতন হয়ে পড়লে নাছির ইভাকে অজ্ঞান অবস্থায় তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

মুমুরদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছেনু মিয়া বলেন, নাছির মিয়া লম্পট প্রকৃতির লোক। কিছু দিন পর পর সে বিয়ে করে।  পরিকল্পিত ভাবেই স্কুল ছাত্রী ইভাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নাছির।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এম এ জলিল জানান, অপহরণকারী নাছিরকে গ্রেপ্তার ও ইভা আক্তারকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে দুইবার মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়েছে।

একবার ঢাকা উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে আবার জানতে পারি, নাছির তার অবস্থান পরিবর্তন করে রাঙামাটি জেলার লংগুদুর মাইনিমুক বাজারের কাছে সে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছে। সেখানেও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে সন্ধান করে পাওয়া যায়নি।

তাকে গ্রেপ্তার ও ইভাকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর