কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৭ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষণে অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওঠেপড়ে লেগেছে। দুই দফা সালিশের পর সাড়ে চার লাখ টাকায় তারা দফারফাও করেছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে আইনের দ্বারস্থও হতে পারছে না ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির পরিবার।
অন্যদিকে ঘটনাটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ (৪৫) গাঢাকা দিয়েছে। সে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বারাবর গ্রামের মৃত আহাম্মদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একই গ্রামের দিনমজুরের মাদ্রাসা পড়–য়া মেয়েটিকে প্রায় এক বছর যাবৎ নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আব্দুল্লাহ ধর্ষণ করে আসছিল।
এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে পাঁচ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয় ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
এর অংশ হিসেবে দু’দফা সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা ধার্য্য করে ঘটনাটির মীমাংসা করা হয়।
এছাড়া ছাত্রীর পরিবারকে এ নিয়ে মুখ খুললে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবারকে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ঘটনার ব্যাপারে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।