১৭ বছর পর দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় কলেজ ছাত্রকে হত্যা | অপরাধ
মে ২০, ২০২৫
১৭ বছর পর দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলী (২২) হত্যা মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর মঙ্গলবার (২০ মে) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তিন আসামি হচ্ছে, ভৈরবের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত শাফিল উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন মিয়া (৩৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের মো. কাইয়ুম সরকারের স্ত্রী সেলিনা বেগম শিউলী (৪২) ও একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে শোভা ওরফে মেঘলা (৩৭)।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে সেলিনা আক্তার শিউলী উপস্থিত ছিলো। অন্য দুই আসামি সুমন ও মেঘলা পলাতক রয়েছে।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সবাইকে মৃত্যৃদণ্ডের পাশাপাশি দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

নিহত কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলী পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের মো. শামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (এপিপি) শফীউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ভৈরব হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা মো. শামছুদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।

তদন্তে চার আসামিকে শনাক্ত করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার এসআই আব্দুল আজিজ ২০০৮ সালের ৩০ মে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি ছাড়াও মহরম আলী নামে আরেকজনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলা চলাকালে মহরম আলী মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ওই দুই নারী কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলীকে হত্যার জন্য টাকার বিনিময়ে সুমনকে ভাড়া করে। পরে সুমন তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে কলেজ ছাত্রকে হত্যা করে।

এপিপি শফীউজ্জামান বলেন, ওই দুই নারী কলেজ এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। এর জেরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেছেন, আসামিরা ন্যায় বিচার পায়নি। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

অপরাধ'র অন্যান্য খবর

সর্বশেষ