জলমহালের ইজারা সীমানা নির্ধারণ ও ভাসান পানিতে মাছ ধরার অধিকার চান মৎস্যজীবীরা

নিকলী প্রতিনিধি | নিকলী
জুন ৩০, ২০২৫
জলমহালের ইজারা সীমানা নির্ধারণ ও ভাসান পানিতে মাছ ধরার অধিকার চান মৎস্যজীবীরা

ইজারার নামে বর্ষার ভাসান পানিতে চাঁদাবাজি, জেলে নির্যাতন বন্ধ ও জলমহালের ইজারা সীমানা নির্ধারণ করে সাধারণ মৎস্যজীবীদের মাছ শিকার নিশ্চিত করার দাবিতে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সোমবার (৩০শে জুন) দুপুরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিকলী ইউনিটের সহযোগিতায় নিকলীর নিপীড়িত মৎসজীবী সমাজ এর ব্যানারে উপজেলা সদরে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দাবিসম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপি ও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী মৎস্যজীবীদের ভাষ্য, হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার জলমহালগুলো ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া ভূমির সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় না।

এই সুযোগে ইজারাদাররা ইজারা নেওয়া জলমহালের সীমানা ছাড়িয়ে অনেক বেশি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে ভোগদখল করে। অনেক ক্ষেত্রে ইজারার জলমহালের শতগুণ বেশি ভাসান পানির দখলও তারা নিয়ে নেয়।

এই পরিস্থিতিতে ভাসান পানিতে সাধারণ মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গেলে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদা না দিলে কেড়ে নেওয়া হয় জেলেদের জাল। করা হয় মারপিট। এমন কি গুমখুনের মতো ঘটনাও তারা ঘটায়।

বর্ষার পানিকে ইজারাদাররা ভাসান মাল বলে দাবি করে। একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভাসান পানিতে সাধারণ জেলেদের মাছ ধরার অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত করে। এ নিয়ে প্রতিবছর দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সাধারণ মৎস্যজীবীরা দাবি করেন, সরকার যেহেতু রাজস্ব নেয়, সরকারের উচিত ইজারা দেওয়া জলমহালের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া। না হলে এ নিয়ে অনাকাঙ্খিত যত ঘটনা ঘটবে, প্রশাসনকেই এর দায় নিতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিকলীর আহ্বায়ক খাইরুল মোমেন স্বপন বলেন, হাওরের দুই অর্থনীতি। কৃষিতে সমস্যা হলে মাছকে উপলক্ষ্য করে জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করেন সাধারণ হাওরবাসী। কিন্তু ভাসান মাল নামে ইজারা দাবি করে সাধারণ মৎস্যজীবীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা বেআইনী ও অনৈতিক।

আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রশাসন সঠিক উদ্যোগ নেবে।