বিজিএমইএ নির্বাচন এবং একজন ফারুক হাসান

শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন | অর্থবাণিজ্য
মে ২৫, ২০২৫
বিজিএমইএ নির্বাচন এবং একজন ফারুক হাসান

ফারুক এম. হাসান, বিজিএমইএ-র প্রাক্তন সভাপতি। বহু কাল পূর্বে পাবনায় হোসিয়ারি শিল্পের গোড়াপত্তন হলেও ১৯৬০ সাল থেকে তৎকালীন লেবার হোসিয়ারি এবং মিনার টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী যারযিস হোসেন এবং হালিম হোসিয়ারি যৌথভাবে বিদেশে হোসিয়ারি পণ্য রফতানির চেষ্টা শুরু করেন এবং ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো তারা লিবিয়ায় টি-শার্ট রফতানি করে রপ্তানীকারক হিসেবে সফলতা অর্জন করেন।

শিল্প উদ্যোক্তা যারযিস হোসেন বাংলাদেশের নীট শিল্প ও রপ্তানীর জনক হলেও নব্বইয়ের দশকে এ শিল্পের তরুণ বয়সে যে সকল উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী শিল্পটিকে আধুনিকতায় রুপায়ন করে ইউরোপ আমেরিকা সহ বহির্বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দেন তাদের মধ্যে অন্যতম তদানিন্তন নর্দান কর্পোরেশনের পরিচালক ফারুক এম. হাসান যার নামটি এ শিল্পের অগ্রসরতায় আবশ্যকীয় ভাবেই সম্পৃক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়।

তরুণ বয়সেই ফারুক এম. হাসান এ শিল্পের প্রসারে নিজেকে নিয়োজিত করে শিল্পটির সফলতার সাথে নিজেকেও সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে পরিণত বয়সে উপনিত হয়েছেন। যিনি এখন দেশের বৃহত্তর গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান জায়ান্ট টেক্সটাইলস লিমিটেড এর কর্ণধার পাশাপাশি এ শিল্পের প্রসার ও উন্নয়নে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে (২০২২-২০২৪) দায়িত্ব সততা ও সফলতার সাথে পালন করেছেন।

বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প পরিচালনায় বিদেশি শ্রমশক্তির নির্ভরতা কমাতে এবং দেশিয় দক্ষ কর্মি তৈরির জন্য তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি (BGMEA University of Fashion & Technology (BUFT)। তিনি বর্তমানে এ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফারুক এম. হাসান ৪০ বছর ধরে গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করছেন। তার এই দীর্ঘ যাত্রার প্রতিটি ধাপে তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। পূর্বসূরি হিসেবে পথ দেখিয়েছেন অসংখ্য শিল্প উদ্যোক্তাকে। তৈরি করেছেন বৃহত্তর কর্মস্থল।

অপূর্ণ ইচ্ছা ও সম্ভাবনা নিয়ে ভাবনার শেষ নেই ফারুক এম. হাসানের। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, তৈরি পোশাক শিল্প (RMG) শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বব্যাপী একটি অনুকরণীয় সাফল্যের গল্প। আর এ গল্পকে তিনি আরো চাকচিক্যময় নান্দনিক সৌকর্যে রুপায়ন করতে চান। যার জন্য সম্যক অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা তার রয়েছে।

তার নেতৃত্বে সম্মিলিত পরিষদ-কে ভোট দিয়ে ইতিপুর্বে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের চ্যালেঞ্জ গুলোকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। একই ভাবে (২০২৫-২০২৭) অনুষ্টিতব্য নির্বাচনেও ফারুক এম. হাসান এবং তার সম্মিলিত পরিষদ-কে নির্বাচিত করে ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, বৈশ্বিক সংঘাত ও যুদ্ধ, ট্যারিফ চ্যালেঞ্জ, বৈশ্বিক মন্দা– এইসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশের গার্মেন্টকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় শীর্ষে পৌঁছাতে পারেন শিল্প মালিকগণ। এর মধ্য দিয়ে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।