দেশিবিদেশি নানান জাতের ফল নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একরামপুরে খামারবাড়িতে শুরু হয়েছে তিনদিনের ফল মেলা। বুধবার (২৫ জুন) জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে শুরু হয়েছে এ মেলা, যা শুক্রবারে (২৭ জুন) শেষ হবে।
মেলায় ৮টি স্টল দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জাতের আমসহ, কাঁঠাল, কলা, আনারস, কাঠলিচু, কদবেল, জাম, চালতা, ডেউয়া, ডেফল, করমচা, তৈকর, চেরি, সফেদা,আনার, বিলিম্বি, কাঠবাদাম, আমড়া, ডুমুর, বেল, কামরাঙ্গা, পেয়ারা, ড্রাগন, তাল, নারিকেল, গাব, পেঁপে, জামরুল, লটকন, অরবরই, আমলকি, দেশি মাল্টা, জাম্বুরা, ডালিম ও নানান ফল এসব স্টলে শোভা পাচ্ছে।
'দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই' এই স্লোগানে সকাল ১০টায় ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান (যুগ্মসচিব)। এরপর তিনি মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
এ সময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাদিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কেএম মাহবুব আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি শামছুল আলম সেলিম, কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, শুধু গ্রীষ্ম-বর্ষা নয়, সারা বছরই আমাদের দেশে ফল উৎপাদন হয়। অযত্ন অবহেলায় দেশি অনেক জাতের ফল হারিয়ে যেতে বসেছে। দেশি ফলের দিকে নজর দিতে হবে। তাই বিভিন্ন ঋতুতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এরকম মেলার আয়োজন করতে পারে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।
সভাপতির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাদিকুর রহমান বলেন, জেলাবাসীর কাছে দেশি ও নতুন জাতের মৌসুমি ফল পরিচিত করিয়ে দিতেই এ মেলার আয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. শাহীনুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) মো. ইমরুল কায়েস এবং কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।