কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


কিশোরগঞ্জে মুজিববর্ষে ২০৮ রোগীকে কোটি টাকা সহায়তা

 স্টাফ রিপোর্টার | ১৭ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৫:২২ | বিশেষ সংবাদ 


স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে মোট ২০৮ জন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীর মাঝে মোট এক কোটি চার লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেছে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলার মোট ৬৪ জন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীর হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে আর্থিক সহায়তা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি।

জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও বিসিবি পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ আল মামুন খান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদির মিয়া, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ প্রমুখ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান জানান, মুজিববর্ষে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ২০৮ জন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীর মাঝে মোট এক কোটি চার লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেককে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়া হচ্ছে।

জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৪৩ জন, হোসেনপুর উপজেলার ২১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলার ১২ জন, কটিয়াদী উপজেলার ১৫ জন, বাজিতপুর উপজেলার ১৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলার ৭ জন, ভৈরব উপজেলার ৬ জন, নিকলী উপজেলার ১০ জন, করিমগঞ্জ উপজেলার ৩৬ জন, তাড়াইল উপজেলার ১৯ জন, ইটনা উপজেলার ৯ জন, মিঠামইন উপজেলার ১৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ৩ জন রোগীকে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর