কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


মালয়েশিয়ায় দেয়াল ধসে নিহত পাকুন্দিয়ার হানিফ, বাড়িতে মাতম

 সাখাওয়াত হোসেন হৃদয় | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৭:৪৮ | প্রবাস 


পরিবার পরিজন নিয়ে একটু সুখে থাকার আশায় প্রায় এক যুগ আগে পাড়ি জমান প্রবাসে। কিন্তু সেই প্রবাসেই যে জীবন শেষ হবে তা হয়তো কখনোই ভাবেননি হানিফ মিয়া। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরের পোর্টসন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে নিহত হন হানিফ (৩৮)।

তিনি সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে।

নিহত হানিফ মিয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইসরাইল ভূঁইয়ার ছেলে। তার মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম মালয়েশিয়ায় হানিফ মিয়ার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, হানিফ মিয়ার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি ছোট বেলায় পিতা-মাতাকে হারিয়ে ফুফুর বাড়িতেই বড় হন।

পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে হানিফ মিয়া পড়ালেখা করতে পারেননি। সংসার ভালভাবে না চালাতে পারায় প্রায় ১২ বছর আগে ভাগ্য পরিবতর্নের আশায় আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।

তিনি সেখানের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানীতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় কাজ করার সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে চাপা পড়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর সাথে থাকা দুইজন সহকর্মী গুরুতর আহত হন।

পরে মালয়েশিয়ায় ওই  এলাকায় বসবাসরত সোহেল নামে তাঁদের এক আত্মীয় মুঠোফোনে হানিফের মৃত্যুর খরবটি তাঁর পরিবারকে জানায়।

খবর পেয়ে নিহত হানিফের স্ত্রী শিখা আক্তার, কন্যা পপি ও ছেলে সিয়াম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে আশেপাশসহ পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতের স্বজনরা লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। মালয়েশিয়ায় নিহত হানিফের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবো।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর