কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


কিশোরগঞ্জে নৃশংস হামলায় আহত ফার্মেসী মালিক জিয়া মারা গেছেন

 স্টাফ রিপোর্টার | ২৭ জুন ২০২১, রবিবার, ১২:৫১ | বিশেষ সংবাদ 


কিশোরগঞ্জে নৃশংস হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর ২৪ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেছেন ফার্মেসী ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান (৪৫)। শনিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

এর আগে শুক্রবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের পাঁচধা এলাকায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।

ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এনামুল (২৪) ও সুমন (২৭) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত জিয়াউর রহমান জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রানাগাঁও গ্রামের আব্দুর রাশিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার লতিবাবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকায় বসবাস করে শহরের গাইটাল ফার্মের মোড় এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারের বিপরীতে সুমাইয়া মেডিকেল হক নামে একটি ফার্মেসী চালাতেন।

অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনের মধ্যে এনামুল জেলার কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের আতরতোপা গ্রামের মেরাজ মিয়ার ছেলে এবং সুমন শহরের গাইটাল ফার্মের মোড় এলাকার আরজু মিয়ার ছেলে। তাদের মধ্যে জিয়াউর রহমানের মালিকাধীন সুমাইয়া মেডিকেল হলের সাবেক কর্মচারী ছিল এনামুল।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, এনামুল সুমাইয়া মেডিকেল হলে কর্মরত থাকার সময় ফার্মেসী থেকে বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক টাকা তছরূপ করে। জিয়াউর রহমান বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে চাকুরিচ্যুত করে তছরূপ করা টাকা ফেরৎ চান। চাকুরিচ্যুতি ও তছরূপ টাকা ফেরৎ চাওয়ায় এনামুল ক্ষিপ্ত হয়।

এর জের ধরে শুক্রবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে ফার্মেসী মালিক জিয়াউর রহমানকে ফোন করে এনামুল টাকা দেওয়ার জন্য আসতে বলে।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের পাঁচধা এলাকায় যাওয়ার পর জিয়াউর রহমানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।

পরে স্থানীয়রা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিয়াউর রহমান মারা যান।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক পিপিএম জানান, জিয়াউর রহমান আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে শনিবার (২৫ জুন) তার স্ত্রী মোছা. আছমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা (নং-৪০) দায়ের করেছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মারা যাওয়ায় এখন মামলায় হত্যার ধারা ৩০২ যুক্ত হবে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর