কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


খানা তথ্যশুমারির শেষ দিন আজ

 স্টাফ রিপোর্টার | ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ১২:৪৮ | কিশোরগঞ্জ সদর 


আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় খানা তথ্যভাণ্ডার শুমারির তথ্য সংগ্রহের সর্বশেষ দিন। খানা শুমারিতে আপনার খানা অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকলে স্থানীয় গণনাকারী, সুপারভাইজার, জোনাল অফিসার কিংবা উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।

ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ’ প্রকল্প সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে সমতা আনবে, নিশ্চিত করবে সুষম বণ্টন, দূর করবে উন্নয়ন বৈষম্যও। এ প্রকল্পের অধীনে কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৪ জানুয়ারি থেকে শুমারির কাজ শুরু হয় গণনা চলবে আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিসংখ্যান ব্যুরো ‘ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ’ (এনএইচডি) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল খানা, পরিবারের আর্থ–সামাজিক ও জনমিতিক তথ্য সম্বলিত একটি ডাটাবেইজ প্রস্তুতের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের অধীনে আজ শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলায় শেষ হবে শুমারি কাজ।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার জোনাল অফিসার মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, দেশের সকল খানা হতে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে খানার গৃহের ধরন, খানার সম্পদের পরিমাণ, খানার মালিকানাধীন জমির পরিমাণ, এর সদস্যগণের শিক্ষার স্তর, সদস্যগণের পেশার ধরন, খানা কর্তৃক ব্যবহৃত টয়লেটের ধরন/মান ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহকালে ব্যক্তির পরিচিতি নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জন্মনিবন্ধন সনদ দেখে নম্বর লিপিবদ্ধ করা হয়।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মুসফিকুর রহমান পারভেজ বলেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রায় ১৪৫টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু ২০১০ সালে বিবিএস পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, একদিকে একই ব্যক্তি একাধিক কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করছে, অন্যদিকে অনেক দরিদ্র, যোগ্য পরিবার কোনো কর্মসূচিতেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারছে না। ফলে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে একটি সমস্যা দেখা দেয়। তাই সরকারি বণ্টনে সমতা আনতে ‘ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ’ তৈরি করা হচ্ছে। গণনার সময় সংশ্লিষ্টদের জাতীয় পরিচয়পত্রও সংগ্রহ করা হবে। তৈরিকৃত ডাটাবেইজটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে লিংক করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জানা গেছে, সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত ইমপ্লিমেন্ট জেনারেশন ফর দ্যা পুয়রেস্ট (ইজিপিপি), ফুড ফর ওয়ার্ক (এফএফডব্লিউ), ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ), টেস্ট রিলিফ (টিআর), গ্র্যাচুইটাস রিলিফসহ (জিআর) বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপকারভোগী হিসাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে বঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমতা আনা হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল খানার তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রতিটি খানার আর্থ–সামাজিক অবস্থা নির্দেশক স্কোর সম্বলিত একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রকল্পে সঠিকভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে লক্ষ্যভুক্ত করা এবং লক্ষ্যভুক্তির কৌশল সহজতর করা।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর