কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


তুর্কি সুন্দরী এখন বাংলার বধূ!

 কিশোরগঞ্জ নিউজ ডেস্ক | ১০ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার, ১১:০৫ | ময়মনসিংহ 


এক সঙ্গে চাকরির সুবাদে পরিচয়। পরিচয় থেকে ভালোলাগা, আর ভালোলাগা থেকে প্রেম। অবশেষে প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসে প্রেমিক হুমায়ুন কবিরের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তুরস্কের সুন্দরী তরুণী আয়েশা ওজতেকিন।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাঙালি আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন আয়েশা-হুমায়ুন।

বাংলার নববধূর সাজে দূরদেশে এসে তুর্কি কন্যার প্রেমিককে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মুহূর্তেই আলোচিত হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

হুমায়ুন কবির ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর এলাকার হাসান আলী ও হোসনে আরা দম্পতির ছেলে।

অন্যদিকে আয়েশা ওজতেকিন তুরস্কের আনতালিয়া শহরের মাহমুদ ওজতেকিন ও সেফদা ওজতেকিন দম্পতির মেয়ে।

জানা গেছে, হুমায়ুন কবির ২০১০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান। আনকারা শহরের হাজেত্তেপে ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন বিভাগে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি।

পরে ২০১৮ সাল থেকে আনতালিয়া শহরের লাইফ হসপিটালে শুরু হয় তার কর্মজীবন। ওই হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষক ছিলেন তুর্কি তরুণী আয়েশা ওজতেকিন।

এক সঙ্গে চাকরির সুবাদে দুজনের পরিচয়। পরিচয় প্রেম এবং অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে পরিণয়।

হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, তুরস্কে সাধারণত এই উপমহাদেশের মানুষ খুব কম থাকে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি জানার আগ্রহ থেকেই মূলত আমার সঙ্গে পরিচয় তার। নিয়মিত নানা বিষয়ে কথাবার্তা হতো। সেই থেকেই আস্তে আস্তে প্রেম এবং অবশেষে বিয়ে।

তুর্কি কন্যা আয়েশা ওজতেকিন বলেন, প্রথমত বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় অনেক নরম। তাদের মাঝে ভালোবাসাটা একটু বেশি, অনেক আবেগী তারা। এ কারণে আমি হুমায়ুনের প্রতি আকৃষ্ট হই। তার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমি তাকে খুব ভালবাসি।

আয়েশা ময়মনসিংহে এসে এখানকার মানুষের আতিথিয়তায় মুগ্ধ এবং অভিভূত। বলেন, ময়মনসিংহ তো আমার খুব ভালো লাগছে। এখানকার মানুষ অনেক আন্তরিক। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক আদর করেন।

এখানে আসার পর সব সময়ই প্রতিবেশি আমাকে দেখতে আসছেন। যখন বিমানবন্দরে এসে নেমেছিলাম তখন প্রায় ৫০-৬০ জন মানুষ আমাকে আনতে গিয়েছিল। এটা আমার কাছে খুবই আনন্দের ছিল এবং অবাক হয়েছিলাম।

হুমায়ুনের বাবা হাসান আলী বলেন, কয়েকদিন হলো সে এখানে এসেছে। ভিন্ন সংস্কৃতির মেয়ে হয়ে কয়েকদিনেই সে যেভাবে আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে তা সত্যিই অকল্পনীয়। পুত্রবধু হিসেবে তাকে পেয়ে আমরা খুশি এবং তাদের দুজনের উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করি।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর